ইন্টারনেশনাল লেবার অরগানাইজেশনের রিপোর্ট অনুসারে পৃথিবীতে বর্তমানে ১৮ হাজার পেশা রয়েছে। ILO সকল মানুষকে ৪টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেন। লেভেল ০১ : শরীর আছে, বুদ্ধি নাই; লেভেল ০২: শরীর আছে, বুদ্ধি কম; লেভেল ০৩ : শরীর আছে কিন্তু বুদ্ধি বেশি; লেভেল ০৪ : শরীর ও বুদ্ধি উভয় বেশি তবে তা সুপার এণ্ড সুপার।
প্রথম ক্যাটগরিতে আছেন দাড়োয়ান, লেবার, ক্লিনার, ওয়েটার ইত্যাদি। দ্বিতীয় ক্যাটগরিতে অর্ন্তভুক্ত কারিগর, ড্রাইবার, ইলেকট্রিক মেকার, গেইট কিপার, বডিগার্ড ইত্যাদি। তাদের ডাটা অনুসারে লেভেল ওয়ান ও টু এই দুই লেভেলে ৫০% থেকে ৭৩% মানুষ অন্র্তভুক্ত। লেভেল থ্রিতে টুটাল মানুষের ২৫% এর অবস্থান। তারা অনার্স, মাস্টার্স ও উচ্চ শিক্ষা নেয়ার পর শিক্ষক, সেনা অফিসার, আমলা, পুলিশ, বিচারক, স্থপতি, ব্যাংকার, রাজনৈতিক নেতা ইত্যাদিতে জব করেন। লেভেল: ০৪ আছেন ২% থেকে ৩% মানুষ। তারা extra-ordinary, জিনিয়াস ও সুপার intelligence এর অধিকারী। পুরো পৃথিবীকে তারা কনট্রোল করেন। চমস্কি, বিল গেটস, জুকার বার্গ, ইলান মাস্ক ইহার উদাহরন। ১৬ বছর থেকে ২৫ বছর বক্তির জীবনে ফরমেটিভ ষ্টেজ। এই লেভেলে বক্তি পরবর্তী জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন করেন। গবেষকগন বলেন, এই লেভেলে সঠিক নির্দেশনার বাইরে বক্তি নিজেকে অপ্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনে নিয়োজিত করলে প্রতি বছরে ব্যক্তির লোকসান হয় প্রায় ১.২৫ কোটি টাকা।
কিভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন ?
Set Goal: নিজের Skill and knowledge উপর বেসিস করে acheiveble goal এর একটি প্যানেল তৈরী করুন। তা সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে হতে পারে। খেয়াল রাখবেন, গোলের প্যানেলটি যেন কোন মতেই আপনার শক্তি ও দক্ষতার বাইরের না যায়। বিশেষত৩টি বিষয় খেয়াল করা উচিত। ১. আপনি এখন কোথায় আছেন ২. কোথায় যেতে চান ৩. কিভাবে যেতে চান। প্রয়োজনে গোল-প্যানেল তৈরীতে পেশাদার কাউন্সিলর বা শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ নিন।
Self-Assesments: যেখানে যেতে চান সেখানে পৌঁছানোর জন্য আপনার পুজির দরকার। জ্ঞান ও দক্ষতা হলো আপনার পুজি। দেখুন কোন বিষয়ে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা বেশি এবং কোন বিষয়ে তা কম। তারপর ভাবুন, আপনি কোন ধরনের মানুষ। extovert না introvert, সাহসি না ভিতু , আবেগী না বাস্তববাদী ? ইহা একটি গুরত্বপুর্ণ বিষয়।
Research Carrers : আপনার বৈশিষ্টের সাথে মিল আছে এমন পেশা খুজ করুন। জবের পদসেপান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে খবর নিন। দেখুন এ জবে সবোচ্চ পদন্নেতি ও প্রাপ্তি কি? মনের সাথে মিল নেই এমন পেশায় না যাওয়াই ভালো। প্রচলিত জবের বাইরে বাজারে উদয়িমান ক্ষেত্রের খবর নিন। পরিবর্তন শীল দুনিয়ায় এ আই, রি-নিউবল ইনারজি, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফট ওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি ডেভেলপ করছে। নিজে উদ্যোক্তা হতে পারেন। আপনার শখের ফিল্ডগুলোতে যারা কাজ করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের পজেটিভ ও নেগেটিভ দিকগুলো দেখুন। তা আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
Test and Adjust: বেসরকারি চাকুরিতে বড় পদগুলোতে সাধারণত অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তাই পার্টটাইম কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করুন। সব সময় flexible থাকুন, রিজিডিটি পরিহার করুন, নিজের উপর নির্ভর করুন। একটি জবের অভিজ্ঞতা দিয়ে পরবর্তীটি ধরুন। দেখবেন, একদিন কাঙ্খীত জায়গায় পৌঁছে গেছেন।