Four SQ is very important for a better personality. You can be a balanced person through following  suggestions given below. Physical quotient:  প্রথমে যে প্রশ্নটি আসে তা হলো আপনি কতটা স্বাস্থ্যবান ? তার উপর নির্ভর করবে আপনার সফলতা। আর স্বাস্থ্য নির্ভর করে চারটি বিষয়ের উপর

১. খাদ্য: ক. শরীরের প্রয়োজন অনুসারে খাদ্য গ্রহন করা খ. সময় মত খাবার গ্রহন করা গ. অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া ২. শারীরিক ব্যায়াম: ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ১ ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করা, যাতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে ৩. ঘুম: দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো, যাতে এই সময়ে শরীর রিপিয়াংরিং এর কাজ সারতে পারে। ৪. লেইজার টাইম: পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অবসর সময় আড্ডা, হাসি-তামাসা ও আনন্দঘন অবস্থায় সময় কাটানো। এই চারটি দিক পূর্ণ করতে পারলে আপনি ২৫% সফল।
Intelligent quotient ইনটেলিজেন্ট কোয়েচ্শন: এর সাথে জড়িত জ্ঞান, বুদ্ধি, স্মৃতি, যোক্তিকতা, সমস্যা সমাধান পারদর্শিতা ইত্যাদি। কগনেটিভ দিক থেকে আপনি কোন পর্যায়ে আছেন। আপনি কতটা যোক্তিক ও সমস্যা সমাধোনে পারদর্শি ও আপনার ধৈর্যশক্তি কেমন। মানুষ সারা জীবনই শিখে। পরিবেশ থেকে শিখার মাধ্যমে সে নিজের আই কিউ আরো উন্নত করতে পারে। এটা ক্রমাগত উন্নয়নের ব্যাপার। তাই রাসুল বলেন ‘ গতকালের তুলনায় নিজেকে আজকে যে আরও একটু উন্নত করতে পারলো না, সে ধ্বংশ হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত কাভার করতে পারলে আপনি ৫০% সফল।
Emotional quotient ইমোনাল কোয়েশ্চন: এখানে দেখা হয় যে, দৈননন্দিন কার্যাবলি আপনি কতটা ইমোশনালী ব্যালান্সড অবস্থায় করতে পারছেন। আপনি নিজের ও অন্যের ইমোশনকে বুঝতে পারছেন কিনা? কারও সাথে কাজ করতে গিয়ে আপনি বার বার রেগে যাচ্ছেন, বুঝতে হবে যে আপনার ই কিউ অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। কারন রাগ আসলে মস্তিষ্কের প্রি-প্রন্টাল কর্টেজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এই তৃতীয় লেভেলটি ভালভাবে সম্পূর্ণ করতে পারলে ৭৫% সফল।
Spiritual quotient স্পিরিচুয়াল কোয়েশ্চেন: সারা জীবনই মানুষ কাজ করে। মানুষের দেখা উচিত, কাজ করার পিছনে কোন মহৎ উদ্দেশ্য আছে কি না? মানুষ বাড়ি কিনে, গাড়ি কিনে, আর একজন দারিদ্রতা দূরিকরনের স্যোশাল বিজনেস করে। দুটো কাজ কিন্তু এক ধরনের নয়। সাধারন মানুষ নাকি অগ্রসর মানুষ হিসাবে জীবন যাপন করবেন ? এটা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এমন কিছু করুন যাতে লেগাসি তৈয়ার হয়। রবি ঠাকুর বলেছিলেন যে, আমি এমন গান রচনা করবো যে, ‘আমি আপনারে দিবো না ভুলিতে’। এমন কাজ করুন যাতে পরবর্তী প্রজন্ম আপনার জন্ম বার্ষিকির অনুষ্ঠানকে আনন্দের উৎসে পরিণত করতে পারে। আপনি যেন আনন্দের স্থায়ি উৎসে পরিণত হন। এই চতুর্থ মাত্রা যদি আপনি পুরণ করতে পারেন, তবে আপনি ১০০% সফল।
বাসার শফিউল্লাহ
০৮, ডিসেম্বর, ২০২০