abmshafiullah.com

সাজেসন্স টু সেল্ফ

অটো-সাজেসন মানে নিজেকে নিজে কাউন্সিলিং করা। অবচেতন মনের ভিতর এই কাউন্সিলিং এর কাজটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। ধরুন, কেউ ঘুমাবার আগমুহুর্তে চোখ বন্ধ করে গভীর মনযোগ সহকারে নিজেকে নিজে বললেন ‘ আমাকে ভোর পাঁচটায় জাগতে হবে’। বাক্যটি কয়েকবার পুবরাবৃত্তি করলেন । অথবা ঘুমানোর আগে চোখ বন্ধ করে কল্পনায় একটি ঘড়ির মাঝে ভোর ৫টায় উঠার জন্য ঘন্টার কাঠা ৫টায় সেট আপ দিলেন। গভীর মনযোগ সহকারে এই সেটআপটি কল্পনায় আবার দেখলেন। আপনি ভোর পাচটার আগেই জেগে উঠবেন। বেশ কিছু দিন অনুশিলনের পর দেখবেন, আপনি ঠিক ঔ সময়ে জেগে উঠছেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এটা খুব সম্ভব একটি কাজ। কারন প্রত্যেকের শরীরে ‘বায়োক্লক’ রয়েছে। জুসে সলিভা, নেপলিয়েন হিল, কোয়ান্টাম ও অন্যান্ যোগীরা এমনই বলেছেন।
————-
সব মানুষের জীবনেই কম-বেশি গোল বা স্বপ্ন থাকে। জীবনের এই গোল/ ইচ্ছা/ স্বপ্ন এচিভ করার জন্ আপনি অটো-সাজেসনের সাহায্য নিতে পারেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সচেতন মনের মত মানুষের একটি অবচেতন মনও রয়েছে। ইহা অতীতের লক্ষ লক্ষ অভিজ্ঞতাকে অবচেতন মনে ধরে রাখে। আর অবচেতন মনের বৈশিষ্ট হলো সে ভাল-মন্দ ইত্যাদি আবেগী চিন্তার মধ্যে কোন র্পাথক্য সুচিত করেনা। সারাদিন যে ইনপুট মানুষের সাব-কনসাচে ষ্টোর হয়, তা ব্যক্তির কল্পনাকে ডিজাইন করে। অটো-সাজেশনের কাজ হলো ব্যক্তির অবচেতন মনে ব্যক্তির স্বপ্ন বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস তৈরী করা। একটি পজিটিভ বিশ্বাস তৈরী করা, যে ‘ তুমি এটি পারবে’।
————
এই বিশ্বাস বা ইচ্ছা তৈরীর কাজটা কোন একটি বাক্য রিপিটেশনের দ্বারা হতে পারে। বার বার একই কথা রিপিট করলে অবচেতন মন এটাকে গ্রহন করে এবং  পরবর্তিতে মানুষকে উজ্জিবিত করে। মাল্টিনেশন্যাল কোম্পানিগুলোর প্রশিক্ষণে  তাদের কর্মঅীদের  স্পেসিপিক বাক্য হাজার বার লিখান। 
————-
এই অটো-সাজেসন্স প্রক্রিয়াটি ভিজুয়ালাইজেশনের মাধ্যমেও করা যেতে পারে। সংখ্যা ছয় থেকে কাউন্ট ডাউন করে জিরোতে এসে দু-চোথ বন্ধ করুন। কল্পনায় দেখুন, আপনি একজন ব্যাংক এক্সিকিউটিভ এর কক্ষে প্রবেশ করেছেন। কক্ষটি শিততাপ নিয়ন্ত্রিত, সাজানো-গোছানো। টাই পড়া স্মার্ট কর্মকর্তা চেয়ারে বসে আছেন। আপনাকে বসতে বললেন। তিনি আপনাকে চাও খাওয়ালেন। ভিজিটরদের সমস্যা সমাধান করছেন। সাব-অর্ডিনেটরা তাকে খুব সম্মান করছেন। ধন্যবাদ দিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে আসুন। জিরো থেকে কাউট আপ করে সংখা ছয়ে আসুন। আপনার চোখ খুলুন।
————–
এই সিনারিও প্রতিদিন একটি সময়ে ভিজুয়ালাইজ করুন। আপনার অবচেতন মন আপনার চিন্তা-চেতানাকে ঐ দিকে ডাইভার্ট করবে। তার পর কর্ম পরিকল্পনা করে সেই অনুসারে কাজে লেগে যান। ভুল হলে সংশোধন করে পূনরায় কাজে মনযোগী হোন। অপেক্ষা করুন , দেখবেন কোন এক সুন্দর দিনে সেই ইস্পিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। সুফিরা বলেন , ‘মানুষ যে পথে হাটতে চায়, সদাপ্রভু সেই পথ তার জন্য সহজ করে দেন। অনেক মানুষ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফল হয়েছেন।
 

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

সেল্ফ সাজেসন্স টু সেল্ফ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top