abmshafiullah.com

what is counselling ?

 চল্লিশোর্ধ মানুষের সুস্থতা : ডাক্তারের পরামর্শ

If you are over 40, be careful . Different diseases will attack you. You can save your-self by following suggestions given below.

 

১. ব্যায়াম/দ্রুত হাটা:  ৪০ বছর পেরোলে পরে মানুষের শারীরিক ফিটনেস কমতে থাকে। ফলত সাবধান না হলে অজান্তে নানা রোগ-বালাই আপনার শরীরে হামলা দিবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটি ঘা্ম ঝরানো হাটা বা সাইক্ললিং এ বয়সি মানুষের জন্য ভাল। তাতে ব্লাড সার্কোলেসন ভাল হয়, শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ পর্যাপক অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে। প্রেসার ব্যালান্স থাকে।

 

২. জল পান: স্বাভাবিক ফাংশনিং এর কারনে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে জল বেরিয়ে যায়। পরিমিত জল পান শরীরেকে ব্যালান্স রাখে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন প্রতি দেড়-ঘন্টায় এক গ্লাস জল পান করার। শরীরে জলের অভাব হলে শরীর আপনাকে সিগনাল দিবে। পেশাবের রং বলে দিবে, তোমার শরীরে জলের প্রয়োজন। তাছাড়া, সুস্থ থাকার জন্য রাতে ঘুমুবার আগে ও জাগার পরে কমপক্ষে একগ্লাস জল পান করুন। তাতে শরীরযন্ত্র ভাল কাজ করতে পারে।

 

৩. খাবারের অভ্যাস:  কমপক্ষে তিন বেলা খাবার গ্রহনের অভ্যাস করুন। সকালে রাজার মত, দুপুরে দরিদ্রের মত, রাতে ভিক্ষুকের মত। সহজপ্রাচ্য ও নন-কার্বোহাইড্রেড খাবার গ্রহন করুন। অতি:ভোজন, অতি:তেল, চিনি, অতি:লবন পরিহার করুন, কারণ প্রেশার বাড়ানো, ব্লক সৃষ্টি, মোটা হওয়া বা অবিসিটির প্রক্রিয়াতে এগুলো ভাল সাহায্য করে। ক্যাপেইন বর্জন করুন। যদি অভ্যাস থাকেও তাহলে বিকেলের পর চা-কপি পান থেকে বিরত থাকুন। তা আপনাকে নির্বিঘ্ন ঘুমে সহায়তা করবে। রাতের খাবার অন্তত ঘুমুবার ২ ঘন্টা আগে গ্রহন করুন।

 

 ৪. পেরেশানী মুক্ত থাকা: দায়িত্ব বেশি, পেরেশানি বেশি। সম্ভব হলে কম-পেরেশানি যুক্ত কাজের দায়িত্ব নিন। বেশি পেরেশানি আপনাকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে। তাই নিজেকে পেরেশানি মুক্ত রাখুন। পেরেশানি দূর করার জণ্য নিয়মিত আড্ডা দিন। শিয়ার করার জন্য একজন ভাল বন্ধু রাখুন, রীতিমত খেলাধুলা করুন এবং শেষত খোদার কাছে প্রার্থনা করুন।  

 

৫. রিগুলার চেকআপ: ৪০ উরধ বয়সী মানুষের শরীরে দুশমন খুব নিরবে আসে। ডায়াবেটিক হলো সকল রোগের জননী, এ বিষয়ে সাবধান থাকুন। প্রেশার, কোলেষ্টরল ইত্যাদি খুব নিরব শত্রু। এগুলো খুব নিরবে শরীরের ডিফেন্স সিস্টেম নষ্ট করে দেয়। সম্ভব হলে প্রতি ছয়মাসে একবার চেকআপ করুন যাতে সময়মত আপনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন। ২৯/০৭/২৪

Meditation: A Way of Life

বর্তমান বিশ্বে মেডিটেশন খুব জনপ্রিয়। নানা সংস্কৃতিতে ইহার অনুশিলন দেখা যায়। ভারত, নেপাল ও ভুটানের ছোট ছোট পাহাড়ের তুঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধ্যানগুহা দেখে আপনি
খুব অবাক হবেন। মনাষ্টি বা তার সংলগ্ন কোন স্থানে বা তার চেয়ে আরও উপরে কোন গুহায় কোন ধর্মপ্রাণ মানুষ সন্যাসব্রত নিয়েছেন, বিষয়টি আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে। ওখানে উঠার পথে দেখবেন ফুলের গায়ে আটা বাণী ‘ ক্ষনিকের  আনন্দের জন্য আমাকে বৃন্ত থেকে বিচ্ছিন্ন করো না, ঈশ্বরের দেয়া সময়টুকু আমাকে বৃন্তে থাকতে দাও’।
**********
মেডিটেশন নানা তহজিব-তমুদ্দুন-সংস্কৃতির সাথে মিশে এমন একটা রূপ ধারণ করেছে যে, একে কোন একক শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা কঠিন। এটি মূলত কোন বিষয়ে চেতনা ও জ্ঞান বৃদ্ধির মনস্তাত্বিক প্রশিক্ষন ও বাস্তবতাকে মোকাবেলা করার জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি । এক ধরনের মানসিক দক্ষতা যা রিলাক্সচেশন, ফোকাস ও চেতনার সাথে জড়িত। শারীরিক বিকাশের জন্য যেমন ব্যায়ামের প্রয়োজন ঠিক তেমনি মনের বিকাশের জন্য মেডিটেশনের প্রয়োজন। Aldous Huxly মেডিটেশনকে
`As a method for acquiring knowledge about the essential nature of the things. you do not know what are you going to find out, but whatever it is, you know that it is going to change your life.
*********
তিনটি প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষকরা এই মেডিটেশনের অনুশিলন করিয়ে থাকেন: প্রথমত কনসেনট্রেশান : কোন বিষয় বা বস্তুর উপর নির্বিঘ্ন দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাসের উপর দৃষ্টি নিবন্ধিত করে অথবা কাউন্ট ডাউন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষকরা কাজটি শুরু করান। এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি ধ্যানস্ত বিষয়ের উপর কিভাবে মনযোগ ধরে রাখতে হয় তা শিখানো হয়। অনুশিলনকারী ধ্যানস্ত বিষয়ের বাইরে সকল কিছুকে ভুলে যান, এমনকি নিজেকেও ভুলে যান। চোখমুদে বা ক্রস রেগে বসা থাকা কোন মেডিটেটরকে প্রশ্ন করলে সে হয়তো উত্তর দিবে ` you don’t know what you are going to find, but whatever it is, you know it is going to change yor life’
************
দ্বিতীয়ত অবজারবভশন: ধ্যানস্ত বিষয়ের বিভিন্ন দিকের উপর ব্যক্তি বিঘ্নহীন বিশ্লেষনধর্মী দৃষ্টি দেন এবং বিষয়টির আসল প্রকৃতিকে বুঝার চেষ্টা করেন। উদাহরন হিসাবে একখণ্ড বরফের টুকরার কথা বলা যায়, ধ্যানস্ত ব্যক্তি জলে ভাসা বরফ খণ্ডটির উপর ধ্যানমগ্ন হলেন, তিনি দেখলেন যে বরফ খণ্ডটির ১০% দৃশ্যমান এবং ৯০% অদৃশ্যমান । সুনির্দিষ্ট সময় পরে তিনি দেখলেন যে বরফ খণ্ডটির অস্তিত্ব নাই। কিভাবে বরফ খণ্ডটি তৈরী হলো আবার কেনই বা সুনির্দিষ্ট সময় পরে তার অস্তিত্ব হারালো, তার উৎপত্তি, বিকাশ ও বিলয়ের উপর গভীর দৃষ্টি দিয়ে বরফের খণ্ডটিকে বুঝার চেষ্টা করেন।
***********
তৃতীয়ত এ্যাওয়াইরনেস: তার নিরবিচ্ছিন্ন নিজস্ব চেতনাকে বর্তমান বিষয়ের উপর ধরে রাখেন। ফলত এ বিষয়ে তার চেতনা বৃদ্ধি পায়। চতুর্দিকের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে নিজের সেন্সকে টিউন করার সক্ষমতার সৃষ্টি হয়। এই চেতনা খুবই গুরত্বপূর্ণ বিষয়। লেভেল অনুসারে মেডিটেশনের অনুশিলন আলাদা হয়ে থাকে। সর্বোপরি মেডিটেশনের উদ্দেশ্য হলো মেডিটেটরকে reluxation, concentration, growth of awareness ও ন্যাচারাল এনটিটির সাথে টিউন করা শিখানো। এ ক্ষেত্রে অনুশিলনের গুরত্ব অনেক বেশি।
**************
মেডিটেশনের উপকারিতা:
দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান: এটা দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানে গুরতাব পুর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকে পারিবারিক সমস্যায় জর্জরিত থাকেন। সে সমস্যাটি নিয়ে ভেঙ্গে পড়ে না। অভিজ্ঞজন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তার বয়োসন্ধির সমস্যাজড়িত একটি ছেলে রয়েছে সে নানা রকম সমস্যা তৈরী করে তার শানিত নষ্ট করে। এ পরিস্থিতি সহ পারিবারিক যে কোন সমস্যায় সে ব্যাট হাতে খেলার মাটে গিয়ে খেলাধুলা শুরু করে, ফলত মন শান্ত হয়ে আসে। তখন শান্ত মনে চিন্তা করে সমাধান পেয়ে যান। মনোবিশ্লেষক এরিখ ফ্রম ‘কোয়েটনেস’কে দৈনন্দিন সমস্যার বাস্তব সমাধান হিসাবে উল্লেখ করেন।
*************
নিজেকে নিজে আবিষ্কার করা : কম-বেশি সকল মানুষের চরিত্র একই রকম। তিনি নিজের উপর ধ্যানে নিমগ্ন হন এবং তার ডিফেসিয়েন্সিগুলো বুঝার চেষ্টা করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতিনিয়ত তিনি পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে নিজেকে নিজে নির্মাণ করছেন। তার অক্ষমতা ও সক্ষমতার উপর পূর্ণ ধারনা হওয়ায় কি করা উচিত ও কি করা উচিত নয় তার সিদ্ধন্ত নিতে পারেন এবং অন্যের সাথে সম্পর্কটির রিটিউন করতে পারে। ধ্যান্থ অবস্থায় তার মেমরিগুলো স্মরণে আসে তাতে সে পুরক অনুভব করে। ব্যক্তি বুঝতে পারে যে সে অনেক পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে সামনে এগুবে।
*********-****
সেন্স অব জয়
নির্জন ধ্যান আমাদের একে অন্যকে বুঝতে সাহায্য করে। একটি মানুষ যখন দুচোখ বন্ধ করে শ্বাসগ্রহন করেন, তখন তিনি ভাবেন যে তিনি বাতাস থেকে অক্সিজেন বা এনার্জি গ্রহন করছেন এবং তা শরীরের প্রত্যেকটি কোষে যাচ্ছে। আবার যখন শ্বাস ত্যাগ করেন তখন ভাবেন যে তার শরীর থেকে সকল বিষাক্ত দ্রব্য বের হয়ে যাচ্ছে। তখন মন স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে শিতল হয়ে আসে এবং সে এক অবর্ণনীয় আনন্দ অনুভব করে। একটা মানুষ প্রতিদিন নদীতে যায়, কিন্তু সে নদীকে খুব কমই দেখে। কিন্তু মেডিটেশনে অভ্যস্ত হওয়ার পর মেডিটেটরের নদী দেখা অনেকটা ভিন্ন। কখনও শান্ত, কখনও উত্তাল, কলকল ধ্বণি,গাংঙ চিলের আনাগোনা ইত্যাদি ব্যক্তিকে একটি বিষয়কে হোলিষ্টাকেলি দেখার সক্ষমতা দান করে। মেডিটেশন আমাদের সজিব জগত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। এক ধাপ এগিয়ে সে আমাদের অদেখা জগতের প্রান্তে নিয়ে যেতে পারে যা অদেখা গোলাপের গন্ধের মত। মনোবিজ্ঞানী ক্লদিয়ো নারানজোর ভাষায় বরা যায় যে, we are the part of cosmos, a tide in the ocean of life, a chain in the network of processes that do not either begin or end within the enclosure of our skins’
*************
ইনফিনিটি
সৃষ্টি সসীম আর স্রষ্টা অসীম। অসীমকে অনুভব করা কঠিন বিষয়, তবে অসীমের বিভিন্ন এজন্সির সাথে সংযোগ সম্ভব। প্রকৃতির সকল কিছু স্রষ্টার এজেন্ট। স্বয়ং মানুষ তার শ্রেষ্ট এজেন্ট। মানুষ তার সমপর্যায়ের এজন্টকে বুঝার মাধ্যমে অসীমকে খণ্তিভাবে অনুভব করতে পারে। সকল প্রকৃতি হলো স্রষ্টার চিহ্ন। তার কাজ দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন সত্য , তার মেটারিয়েল ম্যানেফেস্টাশান দেখা সম্ভব নয়, তাই তাকে কল্পনায় দেখতে হয় এবং কাল্পনিক উপায়ে অনন্তের সাথে সংযোগ সাধন করতে হয়। মেডিঠেশন প্রার্থনার সমপর্যায়ের কিছু। এটা আমাদের বলে যে Kingdoom of heaven is within you ।
ড. বাসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ
২২ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি. সোমবার

ষড়রিপু
কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য একই বিষয়ের ভিন্ন বহি;প্রকাশ। প্রকৃতি মানুষের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য ষড়রিপুকে মানষের মাঝে ইনষ্টল করেছেন। ষড়রিপুর নিয়ন্ত্রণহীনতা ও যৌক্তিক ব্যবহারের অযোগ্যতা ব্যক্তির মাঝে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়। হিন্দু-খৃষ্ট-মুসলিমী সন্যাস ষড়রিপুর নিয়ন্ত্রণে বাড়াবাড়ি করেছেন।

কাম: দর্শনীয়-অদর্শনীয় রূপ-রসাদি,নান্দনিকতা ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি মানুষের যে স্বাভাবিক আকর্ষণ তার নাম কাম। কাম কামনার সংক্ষিপ্ত রূপ। মানুষের ঠিকে থাকার জন্য কামনার খুব প্রয়োজন। চতুর্দিকের দ্রবাদি ও স্মৃতি ইহার উৎস।

ক্রোধ: কামনা ও বাসনা ব্যক্তির মাঝে নানা চাহিদা তৈরী করে। চাহিদা প্রতিহত হলেই ব্যক্তির মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়ার ফল হলো ক্রোধ। ফেসিয়াল বহিঃপ্রকাশে তা দেখা যায়। চোখ লাল হয়ে যায়,ভ্রু কুচকে আসে।

লোভ: আবার এই কামনা ও বাসনা যাচিত ও অযাচিত বিষয়ের দিকে অতিমাত্রায় আকৃষ্ট হলে তাহাকে লোভ বলে। এটা অনেকটা বক্সে আটকে পড়ার মত। অযৌক্তিক লোভ পাপের জননি।

মোহ: লোভ ব্যক্তির আত্মজ্ঞান আচ্ছন্ন করে দেয়, তার ব্রেন ডিসফাংশনাল হয়। ফলে তার বাইরে সে আর কিছু দেখতে দেয় না। ইহাই মোহ,অজ্ঞানতা বা মায়া।

মদ: এই অজ্ঞানতা,মায়া ও মোহ যখন ‘আমি ধনী’ ‘আমি জ্ঞানী’ ‘আমারে চিন না?’ আমার চেয়ে বড় আর কেউ নাই ‘ ইত্যাদি রকমে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে, তখন তাহাকে  বলে মদ। মদ্যপ অবস্থায় মানুষ এমনই ভাবে।

মাৎসর্য: আর অহমিকা যখন অন্যের উন্নতি দর্শনে বাধাপ্রাপ্ত বা সঙ্কুচিত হয় অর্থাৎ অমুক আমা অপেক্ষা ধনী, অমুক আমা অপেক্ষা জ্ঞানী, এই অপ্রীতিকর সত্য সে সইতে পারেনা তখন যে চিত্তক্ষোভের সৃষ্টি হয়, তাহার নাম মাৎসর্য বা পরশ্রীকাতরতা।

মুনি-ঋষি-সুফিরা ষড়রিপুর যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরত্ব আরোপ করেছেন। ইহার পজিটিভ ও নেগেটিভ দিক রয়েছে। এটা অনেকটা মানব শরীরে লবনের প্রয়োজনের মত।  সুডিয়ামের স্বল্পতার কারনে মৃত্যু হতে পারে। পরিমানে কম-বেশি উভয় ক্ষতির কারন । 
 ড. বাসার শফিউল্লাহ
 ০৫/০৬/২০২২

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Scroll to Top